খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদেশি ঋণ ছাড় কমে যাওয়া, সরকারের বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়ে যাওয়া এবং কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। আবার যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, তা সময়মতো দেশে আসছে না। রপ্তানি আয় সময়মতো দেশে না আসাকেও আর্থিক হিসাবের ঘাটতির বড় একটি কারণ মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। প্রবাসী আয়ের অতিরিক্ত প্রণোদনা ও দামের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি তুলে নেওয়ার পর প্রবাসী আয় বেড়েছে। কিন্তু রপ্তানি আয়ে ডলারের আগের দাম অব্যাহত আছে। ভিন্নভাবে আসার কারণে ডলারের দাম ভিন্ন হবে, তা তো হতে পারে না। এ জন্য চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হলেও আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানির জন্য জাহাজে উঠছে, তার পুরো অর্থ দেশে আসছে না। যেটুকু প্রয়োজন, শুধু তা–ই আনছেন রপ্তানিকারকেরা।’