উদ্বোধক নির্বাচনে আমাদের স্বাধীনতায় বরাবরই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক সানন্দে সম্মতি দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একদল আরেক দলের নেতাদের ডাকায়ও বাধা দেননি। পণ্ডিত বইমেলা যে সমাজের বইমেলা, এটাকে সবাই মেনে নিয়েছেন।
এ ছাড়া লেখকদের বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পর্ব থাকে। এবারের পাঁচ দিনের আলোচনার বিষয়গুলো হচ্ছে ক্ষুদ্র জাতিসমূহের বই ও মেলার ভবিষ্যৎ, ভাওয়াইয়ার দাপুটে নারীরা কই গেল?, ঔপনিবেশিক বাংলা ভাষার কর্তৃত্ব কত কাল, ভাষা নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কি শেষ?
হাজং, সাঁওতাল, গারোসহ কয়েকটি জাতির প্রতিনিধি থাকবেন। তাঁরা বলবেন, গাইবেন। ব্রিটিশ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে জন্ম নেওয়া বাংলা আমাদের প্রাকৃত বাংলা, অংপুরিয়া ভাষা, হাজং, সাঁওতাল, গারো ভাষাকে খেয়ে দিতে চায়। এমনকি ঢাকাইয়া ভাষাও। এই ভাষাগুলোর সাহিত্য দাঁড়ায়নি। এই ভাষাগুলোর বিকাশে পণ্ডিত বইমেলার গুরুত্ব আছে।
কিংবদন্তি ভাওয়াইয়া গানগুলোর কথা ও সুর শুনলেই বোঝা যায় এগুলো লিখেছেন মূলতই নারীরা। কিন্তু কোথাও তাদের নাম নেই। তাদের গানগুলো প্রচলিত নামে প্রচারিত হয়। আব্বাসউদ্দীন, কছিম উদ্দীনের নাম যেভাবে শুনি, সেভাবে প্রতিমা বড়ুয়ার কথা শোনা যায় না।