আগামীর চ্যালেঞ্জ
এখনো অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। দেশটিতে এখনো মূল্যস্ফীতি আকাশছোঁয়া—৩০ শতাংশের আশপাশে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ—প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি নেমেছে।
স্বল্প মেয়াদে আইএমএফের অর্থ ছাড় করা এবং দেশের অর্থনীতির গতি ফেরাতে সংস্থাটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করা এখন শাহবাজের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
এ ছাড়া আরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা পিআইএসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়া এবং বিদেশি বিনিয়োগের সুরক্ষা দেওয়া অন্যতম। এসব উদ্যোগ পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট কমানোর চাবিকাঠি হতে পারে।
পাকিস্তানের শরিফ ভাইদের সঙ্গে সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন রাজপরিবার ও কাতারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এসব সম্পর্ক বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ টেনে আনতে ভূমিকা রাখতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—দুই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী তিন দেশ—ভারত, ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে অম্লমধুর কূটনৈতিক সম্পর্ক গতিশীল করার উদ্যোগ নিতে হবে।