গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটির মরদেহ দেখার পর এই প্রতিবেদক একাধিকবার ঢাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রমনা থানার পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা শিশুটির বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। শুধু বলেছিলেন, বেইলি রোডের আগুন লাগার ঘটনা যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে একজন শিশুটি।
বেইলি রোডের ওই ভবনের আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা কেউ ‘শঙ্কামুক্ত’ নন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন গতকাল শুক্রবার বেইলি রোডে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানিয়েছে, ভবনটিতে রেস্তোরাঁ বা পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।