বেইলি রোডের ভবনটিতে আগুনের ঝুঁকি জেনেও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি

 

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের ধারণা, আগুন লেগেছে সিঁড়ির কাছের কোনো দোকান থেকে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে সিঁড়ি দিয়ে নামার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ভবনে সিঁড়ি একটি। ফলে ওপরের তলায় থাকা মানুষেরা আটকা পড়েন। রেস্তোরাঁর সব কটিই ছিল শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। কাচ দিয়ে ঘেরা থাকায় বাইরে থেকে বাতাস আসা-যাওয়ার পথ বন্ধ ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ভবনটির রেস্তোরাঁগুলোতে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় কাঠ ও সমজাতীয় উপকরণ (পার্টিকেল বোর্ড) ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো সহজে পোড়ে। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।

আগুনের ঘটনার পর তিনতলার একটি কক্ষ থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, তাঁদের কারও শরীরে পোড়ার দাগ ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ে মারা গেছেন।

কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং কী, তা ব্যাখ্যা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও বায়ুদূষণ গবেষক আবদুস সালাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কোথাও আগুন লাগার পর অক্সিজেনের অভাব তৈরি হলে কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হয়। এটার কারণে মানুষের মৃত্যু হতে পারে, অক্সিজেনের অভাবেও মৃত্যু হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *