শামীমা বেগমদের ব্যাপারে যুক্তরাজ্য হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে

 

২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রত্যাবাসনই সঠিক পদক্ষেপ এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেরা বিকল্প।

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আছে এমন ২০-২৫ জন নারী ও তাঁদের পরিবার সিরিয়ার শিবিরগুলোয় অবস্থান করছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা যুক্তরাজ্যের আদালতে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করছেন।

করনেট বলেন, ‘এখানে আসলে কী ঘটছে সে সম্পর্কে এই মামলা জনমত গঠন করবে। আমরা অল্প কিছু পরিবার নিয়ে কথা বলছি। তাদের মধ্যে আবার বেশির ভাগ শিশু এবং তারা অন্যায়ভাবে বন্দিশিবিরে আটকা পড়ে আছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। তারা ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, যদি কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, সে সম্পর্কে প্রশ্নও করা যায়।’

বিদেশে যুদ্ধক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধের বিচার যুক্তরাজ্যে করা সহজ নয়। এ নিয়ে সরকারি আইন সংস্থার সাবেক পরিচালক কেন ম্যাকডোনাল্ড কেসি এর আগে সংসদ সদস্য ও সহকর্মীদের বলেছিলেন, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যেই বিচারের ব্যবস্থা থাকা উচিত। তিনি প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ না নেওয়া এবং যারা নিজেরাই ভুক্তভোগী, তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার এই কৌশল যুক্তরাজ্য ও বাহরাইন নিয়মিত প্রয়োগ করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *