‘রক্তাক্ত একুশে’ নিয়ে ডাকটিকিট নয় কেন

 

‘এম’ ও ‘বি’ দুটি আদ্যক্ষর একসঙ্গে লেখা ‘রক্তাক্ত একুশে’ ছাপচিত্রের প্রথম রূপটির মূল চিত্র সংগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন শিল্পসংগ্রাহকের কাছে। মূল ছাপচিত্রটিও সংগ্রহ করেছে এশিয়ার আধুনিক ও সমকালীন শিল্পকলা সংগ্রহ করা জাদুঘর জাপানের ফুকোওকা এশিয়ান আর্ট মিউজিয়াম।

২১ ফেব্রুয়ারিতে গুলি চালানোর পর রক্তাক্ত বরকতকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন মুর্তজা বশীর। ভাষা আন্দোলনের সেই দিন নিয়ে লিখেছেন সাহিত্যগুণসম্পন্ন এক অনবদ্য লেখা ‘একটি বেওয়ারিশ ডায়েরির কয়েকটি পাতা’। একজন রাজনীতিসচেতন ভাষাসংগ্রামী ও চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর ‘রক্তাক্ত একুশে’ লিনোকাটে ক্ষিপ্রগতিতে কাটা এক একটি আঁচড় যেন প্রতিবাদের ভাষা, প্রতিবাদের চিহ্ন। প্রাণের বিনিময়ে, রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই একুশে ফেব্রুয়ারি। তাই এ চিত্রকর্মের শিরোনাম বাংলাদেশের এ অগ্রগামী ডাকটিকিট সংগ্রাহক রেখেছিলেন ‘রক্তাক্ত একুশে’।

মুক্তিযুদ্ধ করে রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের আজকের ৫০ বছর পেরিয়ে যাওয়া এই বাংলাদেশ। রক্তের ঋণ শোধ করতে ইতিহাসের মুখোমুখি হতে হয় সন্দেহাতীতভাবেই। ইতিহাস থেকে নিতে হয় শিক্ষা। চলতে হয় ইতিহাসের পথ ধরে। রাষ্ট্র ও নাগরিককে হতে হয় ব্যাপকভাবে ইতিহাসসচেতন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থাকা এমন ঐতিহাসিক চিত্রকর্ম ‘রক্তাক্ত একুশে’ কবে বাংলাদেশের ডাকটিকিটে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *