পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ইমরান খানের পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি—৯২টি আসন পেয়েছে। এরপর পিএমএল–এন ৭৯টি এবং পিপিপি ৫৪টি আসনে জয় পেয়েছে।
এই নির্বাচনের ফল নিয়ে কোনো দলই সন্তুষ্ট নয়। এমনকি পিপিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট করে নতুন সরকার গঠন করতে যাওয়া পিএমএল–এনও অসন্তুষ্ট।
ফজলুর রেহমান তাঁর দলের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তাঁরা সরকারে যোগ দেবেন না। তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টে আর কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। সিদ্ধান্ত হবে রাজপথে।’ নির্বাচনে জালিয়াতি করে পিএমএল–এনকে সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ফজলুর বলেন, পিএমএল–এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী শাহবাজ শরিফ সরকার গঠন নিয়ে কথা বলতে তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া না দিয়ে তাঁদের দলকে (পিএমএল–এন) তাঁর সঙ্গে বিরোধী দলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘কিন্তু শাহবাজ আমার প্রস্তাবে কোনো উত্তর না দিয়ে চলে এসেছেন। আমার কাছে পার্লামেন্ট তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে,’ বলেন ফজলুর রেহমান।