নির্বাচনের দিন দীর্ঘ সময়ের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল থাকা এবং ফল ঘোষণায় অনেক দেরি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভোট জালিয়াতি হচ্ছে, এমন সন্দেহ দানা বেঁধে ওঠে। সব মিলিয়ে নির্বাচন ঘিরে জমে প্রশ্নের স্তূপ। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যাহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানায়। বলা হয়, নির্বাচনে হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। মোটের ওপর এই। কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের উচিত ছিল নির্বাচনের আগেই পাকিস্তানি সেনা নেতৃত্বকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, এমন যেকোনো পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কে গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব রাখবে।
পাকিস্তানে এখন যে ধরনের জোট সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বৈধতার জন্য তাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। খুব সম্ভবত জোটটা হবে নওয়াজ শরিফ এবং পিটিআইবিরোধী অন্য কোনো দলের সঙ্গে। যে চ্যালেঞ্জ এখন তাদের সামনে তা হলো, পাকিস্তানের ভোটাররা ব্যালটেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ক্রমে সেনাবাহিনী ও তাদের প্রক্সিদের প্রতি আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। পাকিস্তানের অর্থনীতির খুবই নাজুক দশা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের জরুরি ঋণসহায়তার ওপর নির্ভর করে বসে আছে দেশটি। এর মধ্যে নতুন করে আবারও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে, এমন আশঙ্কা আছে।