ইসরায়েলের জনপদে হামাসের হামলার ঘটনায় কয়েক কর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগ ঘিরে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিওএতে অর্থায়ন বন্ধ করেছে আরো দুটি দাতা দেশ। এদিকে দাতা দেশগুলো মুখ ফেরানোয় গাজার জন্য তহবিল পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সংস্থাটি। ইউএনআরডাব্লিওএ বলেছে, অর্থ সহায়তার জন্য তারা অত্যন্ত মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ গাজায় প্রতি মানবিক সহায়তার চাহিদা ঘণ্টা ঘণ্টায় বেড়েই চলেছে।
তারা বলছে, নতুন করে তহবিল না পেলে ফেব্রুয়ারির পরে তারা গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তাঁরা হামাসের হামলায় জড়িতদের মধ্যে ৯ জনকে চিহ্নিত এবং ইউএনডাব্লিওএর প্রধানকে চাকরিচ্যুত করেছেন। কিছু মানুষের জন্য গাজার অসহায় মানুষদের শাস্তি না দিতে দাতা দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। জাপান ও অস্ট্রিয়া বলেছে, তারা জাতিসংঘের সংস্থায় অর্থায়ন স্থগিত করেছে।
এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, জার্মানি ইতালি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ইউএনডাব্লিওএতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে। এদিকে গাজা সিটির উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপে ওই এলাকায় তাদের হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি বিষয়কেই তুলে ধরছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, উত্তর গাজায় আক্রমণের মাত্রা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরায়েল।
সেখানে হামাসের পুনঃ সংগঠিত হওয়া ঠেকাতে চাইছে তারা। ইসরায়েলের প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা যায়, গাজার সিটির বেশির ভাগ উপকূলীয় অংশ, একটি শরণার্থী শিবির এবং দুটি শহরতলি এলাকায় অভিযান চলাকালে আক্রান্ত হবে। আল শিফা হাসপাতালও ইসরায়েলি অভিযানের এলাকার মধ্যে পড়েছে। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আল শিফা হাসপাতালটি অবরোধের মুখে পড়েছিল। এদিকে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলমান রয়েছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের আল আমাল হাসপাতালের কাছে ইসরায়েল আক্রমণ চালিয়েছে বলে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়।
সূত্র : আলজাজিরা।