সরবরাহ কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে ফের দেশীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে দেশীয় পেঁয়াজের। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
আজ সোমবার হিলি স্থলবন্দরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুড়িকাটা দেশীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে করে কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মোখলেছ বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে ৬৫ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ কিনেছি।
আজ সোমবার পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি পেঁয়াজের দাম বেশি। তাই ৪০ টাকায় আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে চলব, ভেবে পাচ্ছি না।
প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়লেও আমাদের মজুরি বাড়ে না।’
আরেক পেঁয়াজ ক্রেতা মনোয়ারা বেওয়া বলেন, ‘আমি দুই দিন আগে ৬৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ বাজার করতে এসে দেখি পেঁয়াজের দাম বেশি। আমি এক কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৮০ টাকা দিয়ে।’ হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন, ‘আমরা পাইকারি ৭৭ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
শুনতেছি দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসতেছে। তাই দাম বাড়ছে।’
হিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, ‘দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। তাই মোকামেই দাম বেশি। দুই দিন আগে মোকামেই তিন হাজার টাকা মন পেঁয়াজ কিনেছি। এতে মোকামেই ৭৫ টাকা কেজি পড়ছে। এরপর গাড়ি ভাড়া আছে। আমরা কেজিপ্রতি দুই এক টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে থাকি। আবার কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রয় করে থাকি। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম আরো কমে আসতে পারে।’