দেশে রিজার্ভ কমল ১৭৬ কোটি ডলার

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলারের সংকট। আমদানির চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে রিজার্ভ চলছে কমতির পথেই। গত ৩ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। 

সংকটের কারণে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় ২১ দিনে তা কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২৩ কোটি ডলারে। অর্থাৎ এই ২১ দিনে রিজার্ভ থেকে ১৭৬ কোটি ৩০ ডলার কমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় দুই হাজার ৫৩৩ কোটি (২৫.২৩ বিলিয়ন) ডলারে। 

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ মেথডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫২১ কোটি (৫.২১ বিলিয়ন) ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ এখন দুই হাজার দুই কোটি ডলার বা ২০.০২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ২১ দিনে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১৭৭ কোটি ডলার (১.৭৭ বিলিয়ন) এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী কমেছে ১৭২ কোটি ডলার (১.৭২ বিলিয়ন)।

 

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯.৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩.৩৭ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতি মাসে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। 

প্রবাস আয় এলো সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা

জানুয়ারির প্রথম ২৬ দিনে বৈধ পথে ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *