আইন মেনে ব্যবসা না করলে কঠোর ব্যবস্থা : ভোক্তার ডিজি

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, অযৌক্তিকভাবে বাজারে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম বেড়েছে। যেসব চাল বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, সেগুলো আগের কেনা ধানের চাল। তাই অন্যায্যভাবে চালের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

আইন মেনে ব্যবসা না করলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে এই মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এখন হয়তো ধানের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে।

 

আর ধানের দুই টাকার বিপরীতে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে আট থেকে ১০ টাকা। চালের গুদামে গেলে দেখা যায়, বস্তা বস্তা চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে। চালের দাম বাড়ানোর সঙ্গে ব্যবসায়ীরা কি মিলের শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন? পরিবহন খরচ কি বেড়েছে? বাড়েনি। তাহলে চালের দাম কেন রাতারাতি বাড়াতে হলো?’

 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কারওয়ান বাজার এবং নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ দিতে চাই যে তাঁরা মূল্য তালিকা টানিয়ে ব্যবসা করছেন। ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা দিবস উদযাপন হবে। দিবস উপলক্ষে যাঁরা আইনের বেস্ট প্রাকটিস করছেন অর্থাৎ আইন মেনে ব্যবসা করছেন তাঁদের পুরস্কৃত করব। যাঁরা আইন মেনে ব্যবসা করবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে।’

 

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘যিনি অপরাধী তাঁকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হোক। তাঁকে ব্যবসায়ী হিসেবে গণ্য করার দরকার নেই।

তাঁর দায়িত্ব আমরা নিতে চাই না।’

 

মতবিনিময়সভায় এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অধিদপ্তরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *