প্রায় সাড়ে তিন মাস ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান ও ড্রোন হামলার পাশাপাশি স্থল বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপ ও লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের দাবি করে গাজায় নিবিড় স্থল অভিযানে লাগাম টানতে যাচ্ছে তেল আবিব। এরই মধ্যে কিছু সেনা প্রত্যাহারও করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলে ফের হামাসের বড় ধরনের রকেট হামলা সামরিক অভিযানে লাগাম টানার সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গাজা সীমান্ত থেকে প্রায় ছয় মাইল দূরে ইসরায়েলি শহর নেটিভোটকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। মঙ্গলবার প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একদিনে অর্ধশত রকেট হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল বাহিনীর বিধ্বংসী হামলার পরও হামাসের এ আক্রমণ তাদের অব্যাহত সক্ষমতা তুলে ধরে। অর্থাৎ তেল আবিব অস্ত্রাগার, টানেলসহ হামাসকে চূর্ণবিচূর্ণ করার যে দাবি করে আসছে, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা।
এর আগে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানান, উত্তর গাজায় ‘নিবিড়’ স্থল অভিযান শেষ করা হয়েছে এবং শিগগিরই দক্ষিণেও সেই পর্যায়টি গুটিয়ে নেওয়া হবে বলে। এরই অংশ হিসেবে সোমবার উত্তর গাজা থেকে সামরিক বাহিনীর একটি ডিভিশন প্রত্যাহার করে তেল আবিব। মঙ্গলবার সকালে হামাসের রকেট হামলার পর নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের ডানপন্থি সদস্যরা সেই সিদ্ধান্তের জরুরি পুনঃপরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।