ওই ভিডিওতে দেখা যায় যুবলীগ নেতা শাহাদতকে একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি মারধর করছেন। এ সময় ওই যুবলীগ নেতা নিজেকে অসুস্থ দাবি করলেও তারা তাকে ছাড় দেয়নি।
এ সময় কিল-ঘুষি ও কাঁঠ দিয়ে মারধর করতে থাকে। ভিডিওতে তাদের বলতে শোনা যায়, নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কথা বলায় তাকে মারধর করা হচ্ছে।
মারধরের পর আর কখনো সাংসদ মুক্তার বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলার অঙ্গীকার করতে বাধ্য করা হয় তাকে। মারধর ও লাঞ্ছিত করার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন ওই যুবলীগ নেতা। মামলার পর পুলিশ ওই মামলার তিন আসাসিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে মূল আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। বর্তমানে ওই যুবলীগ নেতা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক সাহিদুর রহমান বলেন, আমরা তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।