ড্রোন হামলার পর কিয়েভের একটি ভবন। ছবি: পিকচার এলিয়েন্স
একের পর এক বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাজধানী কিয়েভ, উত্তর-পূর্বের শহর খারকিভসহ একাধিক অঞ্চলে এই হামলা চলেছে। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। রাজধানীর সবচেয়ে জনবহুল এলাকাতেও বিস্ফোরণ হয়েছে।
সেখান থেকে একটি রুশ ড্রোন উদ্ধার হয়েছে। ওই ড্রোন থেকে একটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এদিকে বিশ্বের কাছে আরো সামরিক সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের সেনা জানিয়েছে, রাশিয়ার নয়টি টুপোলেভ টিইউ-৯৫এমএস বোমারু বিমান নিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে শেষ এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। সেবারও গোটা ইউক্রেনজুড়ে আক্রমণ চালিয়েছিল রাশিয়া। ঘটনায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার পর একটি ভিডিও বিবৃতি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেছেন, ‘আরো একবার সারা রাত ধরে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। বন্ধু দেশগুলোর কাছে আরো সামরিক সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।’ জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ‘অন্তত ৭০টি মিসাইল ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি মিসাইল কিয়েভের দিকে এসেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার মাত্রা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক আক্রমণ তারই প্রতিফলন। বেসামরিক এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো লক্ষ্য করে এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। বিশ্বের সমস্ত দেশের কাছে কুলেবার বার্তা, ‘আমাদের আরো উন্নত অস্ত্রের প্রয়োজন। ৩০০ কিলোমিটারের লংরে়ঞ্জ মিসাইল, উন্নত ড্রোন প্রয়োজন। দ্রুত এই সাহায্য পাঠানো হোক কিয়েভে।’একইসঙ্গে রাশিয়ার সর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা ফ্রিজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কুলেবা। জানিয়েছেন, পৃথিবীর সমস্ত দেশ থেকে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হোক।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে জেলেনস্কির। সুনাক জেলেনস্কিকে আরো সামরিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সুনাক ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।