অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার আগেই বছরের শুরুতে ঋণের চড়া সুদ ধার্য করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংক ঋণে গড়ে সুদহার ১২ শতাংশ। দীর্ঘদিন ধরে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ ও ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে আটকে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি নীতির পরিবর্তন আনায় ঋণের সুদহার বাড়তে শুরু করে।
একই ধারায় সুদহার আরো বাড়ল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিপত্র অনুযায়ী, ২০২৪ নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ঋণের সুদহার হবে ১১.৮৯ শতাংশ। তবে ভোক্তা ঋণের সুদহার পড়বে প্রায় ১৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এই ঋণের সুদহার নির্ধারণ করবে। সদ্যোবিদায়ি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭.১০ শতাংশ, আগস্টে ৭.১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭.২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৭.৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭.৭২ শতাংশ এবং সর্বশেষ ডিসেম্বরে স্মার্ট রেট বেড়ে দাঁড়ায় ৮.১৪ শতাংশে।
পরিপত্র অনুযায়ী, ব্যাংকের ক্ষেত্রে শুধু ঋণে সর্বোচ্চ সীমা থাকলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত সংগ্রহেও সুদহারের একটা সর্বোচ্চ সীমা দেওয়া আছে। এসব প্রতিষ্ঠান স্মার্টের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২.৭৫ শতাংশ সুদ যোগ করে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫.৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে পারবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এনবিএফআই। সেই হিসাবে ডিসেম্বর মাসে তাদের সর্বোচ্চ ঋণের সুদহার হবে ১৩.৮৯ শতাংশ এবং আমানতে ১০.৮৯ শতাংশ। তবে জানুয়ারিতে ঠিক করা ঋণের এই সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন করা যাবে না।
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এত দিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে তারা। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও তা আবার বেড়েছে। সর্বশেষ গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়ে ৯.৯৩ শতাংশ হয়েছে। তবে নভেম্বর মাসে তা কমে হয়েছিল ৯.৪৩ শতাংশ।
সংস্থাটি তথ্য বলছে, গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও তা আবার বেড়েছে। সর্বশেষ গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়ে ৯.৯৩ শতাংশ হয়েছে।