আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) রেজাউল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করার অভিযোগ উঠেছে। টাকা বিতরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে নানা মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
রেজাউল দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
দৌলতপুর উপজেলা বাজারে ট্রাক মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজেই টাকা বিতরণ করেন এবং ভোট চান।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দৌলতপুর উপজেলা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী ভোটারদের কাছে লিফলেট ও টাকা বিতরণ করছেন। নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে লিফলেটের সঙ্গে টাকা দিচ্ছেন তিনি৷ এ সময় ট্রাক মার্কায় ভোট দিতে বলেন তিনি। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী ভোটারদের কাছে লিফলেট ও টাকা বিতরণ করছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে টাকা দিয়ে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনে জেতার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন রেজাউল চৌধুরী। ভোট পাওয়ার জন্য, জেতার জন্য টাকা ছিটিয়ে বেড়াচ্ছেন, হুমকি-ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শুধু টাকা বিতরণ নয়, প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে প্রতিপক্ষের প্রার্থী ও সমর্থকদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ জন্য রেজাউলের ভাই টোকন চৌধুরীকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এসব নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) রেজাউল হক চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে দৌলতপুর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল (ঈগল প্রতীক) ও তাঁর সমর্থকদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রেজাউল চৌধুরীর ছোট ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ টোকন চৌধুরীকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
কুষ্টিয়া-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আসাফ-উদ-দৌলা আগামী ১ জানুয়ারি সকালে তাঁকে আদালতে হাজির হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলেছেন। ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ টোকন চৌধুরী বলেন, ‘ওই দিনের বিষয়টি নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। তাছাড়া নিজেদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তাও মিমাংসা হয়েছে।’