তৃতীয় দফায় পেছাল মির্জা আব্বাসের মামলার রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি রাখা হয়েছে। রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে এ নিয়ে তিনবার পেছানো হলো তারিখ।

 

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্কের পর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ মঞ্জুরুল ইমাম গত ২২ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর তারিখ রাখেন। এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর রাখেন। একই কারণ উল্লেখ করে বিচারক ওই দিনও রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেন।

নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু এবারও একই কারণে রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হলো। আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, মহিউদ্দিন চৌধুরী ও শাহীনূর ইসলাম অনি। 

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২৪ জানুয়ারি রায় ঘোষণার নতুন তারিখ দিয়েছেন আদালত। রায় প্রস্তুত না হওয়ার কথা বলে এ নিয়ে তিনবার তারিখ পেছানো হয়েছে।’

 

আয়ের সঙ্গে ‘অসংগতিপূর্ণ’ সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. শফিউল আলম ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা করেন।

 

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

 

এ মামলায় গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর শাহজাহানপুর থানার একটি নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই মামলায় রিমান্ডের পর দুদকের এ মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *