ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছয় বছর আগে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট পরিচয়পত্র (বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য) দেওয়া শুরু করে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে এই পরিচয়পত্রের ডিজিটাল ব্যবহার শুরু করা যায়নি। আগামী বছরের জানুয়ারিতে এর ব্যবহার শুরু হবে বলে জানা গেছে। শুরুতে কেন্দ্রীয় ও বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে এর ব্যবহার হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালে রূপ দিতে ২০১৭ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু হয়। এই পরিচয়পত্রটি আলাদাভাবে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের স্মার্ট কার্ডের কাজ করতে সক্ষম। ফলে বিভিন্ন দপ্তরে (হল, বিভাগ, গ্রন্থাগার) স্মার্ট পরিচয়পত্রের তথ্যের পাঠযোগ্য ডিভাইস বসিয়ে এর ব্যবহার চালু হলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে ডিজিটাল সেবা গ্রহণেও এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট পরিচয়পত্রের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ/ইনস্টিটিউটের নাম, আবাসিক হলের নাম, নিবন্ধন নম্বর, আইডি কোড, ছবি, পরিচয়পত্রের মেয়াদ শেষের তারিখ, ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের সিরিয়াল নম্বরসহ সব ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে থাকা অথবা সেবা গ্রহণে, গ্রন্থাগারে বই পড়া অথবা নেওয়া, বিভাগ/ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরিতে বই পড়া অথবা নেওয়া, মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসাসেবা, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সুইমিংপুল ব্যবহার করতে আলাদাভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পরিচয়পত্র তৈরি করতে হয়। এসব পরিচয়পত্র তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করতে হয়। স্মার্ট পরিচয়পত্রের ডিজিটাল ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এসব সেবা একটি পরিচয়পত্রের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
এতে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়পত্র তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ যেমন কমবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের ছোটাছুটিও কমবে।
স্মার্ট পরিচয়পত্র দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটি। জানতে চাইলে অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২৮টি কার্ডের সমান এই কার্ড। ২৮টি প্রতিষ্ঠান নিজস্বভাবে এটি ব্যবহার করতে পারবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা। সেটি আমরা করছি। আগামী জানুয়ারিতে এই কার্ডের প্রথম ডিজিটাল ব্যবহার হবে আমাদের গ্রন্থাগারগুলোতে।’
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে এর ডিজিটাল ব্যবহার বাস্তবায়ন করব। প্রথমে গ্রন্থাগারে, এরপর শ্রেণিকক্ষে। এভাবে স্মার্ট পরিচয়পত্রের ডিজিটাল ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের মানসিকতা তৈরি করা হবে। এরপর আমরা এটির পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারে যাব।’