অস্ট্রেলিয়ায় পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৪ শতাংশ

অস্ট্রেলিয়ায় পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৪ শতাংশইউরোপ-আমেরিকার মতো বড় বাজারগুলোতে দেশের পোশাক রপ্তানি কমছে। তবে আশার আলো দেখা যাচ্ছে অপ্রচলিত বাজার হিসেবে পরিচিত নতুন বাজারগুলোতে। কারণ নতুন বাজারগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এর মধ্যে চমক দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

এ বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৪ শতাংশ। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অপ্রচলিত যে ১৮ দেশ অন্যতম তার মধ্যে বড় গন্তব্য জাপান। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয় হয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি ডলারের পোশাক।এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ শতাংশেরও বেশি। জাপানে রপ্তানির পরিমাণ অপ্রচলিত দ্বিতীয় প্রধান বাজার অস্ট্রেলিয়া। যেখানে জাপানের চেয়েও বেশি হারে রপ্তানি বেড়েছে। আলোচিত সময়ে দেশটিতে মোট ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।বিজিএমইএ ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, অপ্রচলিত যেই ১৮ দেশে বেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, এর মধ্যে অন্যতম জাপান। যেখানে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৩৯ শতাংশেরও বেশি। জাপানে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৪৫ কোটি ডলারের পোশাক। অপ্রচলিত দ্বিতীয় প্রধান বাজার অস্ট্রেলিয়া। যেখানে জাপানের চেয়েও বেশি হারে রপ্তানি বেড়েছে।

ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অর্থবছরের তিন মাসে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ২২৪ কোটি ২৪ লাখ ডলার। আলোচিত সময়ে একক দেশ হিসেবে দেশের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ২.৭৭ শতাংশ। আর জোটগতভাবে প্রধান বাজার ইইউতে (২৭ দেশ) রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭ শতাংশ। সে হিসাবে ধারাবাহিকভাবে তুলনামূলক রপ্তানি বাড়ছে নতুন বাজারে। তবে অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে ভারতে গত প্রান্তিকে রপ্তানি ৮ শতাংশ কমেছে। ভারতের বাজারে ২৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানির গতিও ধারাবাহিক। বৈশ্বিক নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাড়ছে রপ্তানি। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বেড়েছে অন্যসব বাজারের তুলনায়। রপ্তানিকারকদের আস্থাও বাড়ছে এসব দেশে। উদ্যোক্তাদের নানা উদ্যোগ ও রপ্তানিতে সরকারের নগদ সহায়তা অপ্রচলিত বাজার সম্প্রসারণে উৎসাহ জোগাচ্ছে।

তাঁরা বলেছেন, চীন অনেক বাজার থেকে সরে এসেছে। তারা নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে কিছু বাজার থেকে। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা সেসব বাজারে আস্থা অর্জন করছেন। জাপান থেকে সরে গেছে চীন। সেখানে যে গ্যাপ তৈরি হয়েছে, সেটি পূরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এভাবে সুযোগ তৈরি হয়েছে অপ্রচলিত বাজারে। রপ্তানিও বাড়ছে, আগামী দিনে আরো বাড়বে।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘আমরা অপ্রচলিত বাজারে মনোযোগ দিচ্ছি। সেখানে রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সরকার এসব বাজারে রপ্তানিতে প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানিতেও ধারাবাহিকতা রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *