স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশঃ ৬-১২০-২০২৩
আউট হয়ে ফিরছেন দিপু। নিউজিল্যান্ডের উদযাপন। ছবি: এএফপি
সিলেট টেস্টে জিতে ফুরফুরে মেজাজে ছিল বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল নাজমুল শান্তরা। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ায় আশার পালে লেগেছিল হাওয়া। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের স্পিনে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৬.২ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা।
ব্যাট করতে নেমে ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল জয় শুরুর ১০ ওভারের ফাঁড়া পার করেন। ১১তম ওভারে শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন ওপেনার জাকির (৮)। পরের ওভারেই আউট হন জয়। তিনি ৪০ বল খেলে ১৪ রান করেন। একটু পরই কাট শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন মুমিনুল হক (৫)। এরপর তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ৯ রান করে আউট হলে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চমক বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
ধাক্কা সামলে ওঠার দায়িত্ব পড়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও তরুণ ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপুর কাঁধে। তারা ৫৭ রান যোগ করে দলকে আশা দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু মুশফিক ৪১তম ওভারে অদ্ভুতভাবে আউট হন। জেমিনসনের বল দারুণভাবে ডিফেন্স করলেও উইকেটের পেছনে যাওয়া নির্লিপ্ত বল হাত দিয়ে ফিরিয়ে অবস্ট্রাকটিং দ্য আউট বা হ্যান্ডলিং দ্য বল আউট হন তিনি।
মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে দলের পক্ষে ৮৩ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস। পরে দিপু-মিরাজরা দলকে বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা দিপু ১০২ বল খেলে ৩১ রান করে আউট হন। মিরাজ খেলেন ২০ রানের ইনিংস। এছাড়া নাঈম হাসান ১৩ ও শরিফুল ইসলাম ১০ রান করে যোগ করেন।
বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তিন স্পিনার এজাজ প্যাটেল, মিশেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস। তারা তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। এর মধ্যে ফিলিপস ১২ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। স্যান্টনার ৬৫ রানে ৩টি ও এজাজ নিয়েছেন ২ উইকেট।