প্রকাশঃ ৩-১২-২০২৩
ছবিঃ শাহরিয়ার আলম
প্রথমবার এমপি হওয়ার আগে ২০০৮ সালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঋণ ছিল ৭৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। তখন তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৩ লাখ টাকার। গত ১৫ বছরে সব ঋণ পরিশোধ করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর অস্থাবর সম্পদ আছে ৮৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার।
১৫ বছর ধরে রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম। তাঁর দুই ছেলেরও বেড়েছে আয় ও সম্পদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া হলফনামা এবং আগের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজনীতিতে সক্রিয় না থেকেও ঢাকার ব্যবসায়ী শাহরিয়ার আলম ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর টানা তিনবার এমপি হন। ২০১৪ সালে দায়িত্ব পান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর। ২০০৮ সালে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এককভাবে, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ডিরেক্টর হওয়ায় কোম্পানির নামে তাঁর ঋণ ছিল ৭৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী ঋণ ছিল ৫৭ লাখ টাকার। এবারের হলফনামায় ঋণের উল্লেখ নেই।
তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হওয়ার সময় ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং তাঁর স্ত্রী ২৭ লাখ টাকা দামের গাড়িতে চড়তেন। বর্তমানে তিনি ১ কোটি ১ লাখ টাকা এবং তাঁর স্ত্রী ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা দামের গাড়িতে চড়েন।
শাহরিয়ার আলমের বার্ষিক আয় বেড়েছে বহু গুণ। ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এখন বার্ষিক আয় ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান বা অন্যান্য বাবদ ১৩ লাখ ৫০ হাজার, কোম্পানির শেয়ার থেকে লভ্যাংশ ৭ কোটি ৬০ লাখ ৭৮ হাজার, ব্যাংক সুদ থেকে ১ লাখ ৭৪ হাজার এবং প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত সম্মানী ভাতা ও পারিতোষিক ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গতবার কোম্পানির শেয়ার থেকে লভ্যাংশ ২ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার হলেও এবার বেড়ে ৭ কোটি ৬০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা হয়েছে।