মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের কারাগারে নির্যাতনের কথা বললেন

ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পর জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক ফিলিস্তিনি নারী, রামাল্লা, পশ্চিম তীর

ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পর জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক ফিলিস্তিনি নারী, রামাল্লা, পশ্চিম তীরছবি: রয়টার্স।

 

গাজায় কার্যকর থাকা সাত দিনেন যুদ্ধবিরতির মধ্যে ২৪০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলি কারাগার থেকে। গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিনে মুক্তি পেয়েছে ৩০  জন। ওই দিন  রাতে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় একটি বাসে করে পৌঁছান।

 

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তাঁদের একজন আলী আসকারা। তিনি বলেন, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দীদের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে সব ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে।

 

আসকারা আরও বলেছেন, ইসরায়েলি কারাগারে তাঁদের মারধর করা হতো। নির্যাতনের কারণে কারও কারও চোখে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হয়েছিল।

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনিস হাওয়ামদেহ নামের এক ফিলিস্তিনি বলেন, ইসরায়েলের বন্দী থাকার অভিজ্ঞতা ‘স্বাভাবিক’ ছিল না। তিনি একে ‘ট্র্যাজেডি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে হাওয়ামদেহ এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি। তিনি কোন কারাগারে বন্দী ছিলেন, তার নামও উল্লেখ করা হয়নি।

 

সদ্য মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি আবদুল্লাহ আল বাওয়ের আশা, শিগগির অন্য বন্দীদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।

 

ইসরায়েল বলেছে, আইনগতভাবে সব বন্দীকে আটক রাখা হয়েছিল।
যদিও এ পর্যন্ত যাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *