পাহাড়ের সুন্দর জঙ্গল সত্যিই দ্রুত ছোট হয়ে আসছে। এর কারণ হলো মানুষ এসব চিন্তা না করে গাছ কেটে ফেলছে, আর আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এটি পশু-পাখিদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তুলছে।
বনে পর্যাপ্ত খাবার নেই, যা সেখানে বসবাসকারী বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে যারা বনের যত্ন নেয় তাদের সাহায্য করার পরিকল্পনা রয়েছে। তারা মিরসরাই উপজেলা নামক স্থানে প্রচুর ফলের গাছ লাগাচ্ছেন, যাতে পাহাড়ের পাখিদের পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারে।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘মহামায়া ইকোপার্কের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রতিবেশ উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় ৬০ হেক্টর পাহাড়ি বনভূমিতে ১ লাখ ৫০ হাজার দেশি ফলগাছের বাগান তৈরি করা হয়েছে।
৬০ হেক্টর পাহাড়ি বনভূমিতে ১ লাখ ৫০ হাজার দেশি ফলগাছের বাগান তৈরি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতায় মিরসরাই উপজেলার মহামায়া হ্রদ এলাকার পাহাড়ে এ বাগানের কাজ শুরু হয়। বাগানে লাগানো হয়েছে পাখিদের পছন্দের ফল ঢাকিজাম, পুঁতিজাম, কালোজাম, বর্তা, থনা, বট, কদম, আমলকী, চাপালিশ, হরীতকী ও বহেরার মতো ফলগাছ।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতায় মিরসরাই উপজেলার মহামায়া হ্রদ এলাকার পাহাড়ে এ বাগানের কাজ শুরু হয়। বাগানে লাগানো হয়েছে পাখিদের পছন্দের ফল ঢাকিজাম, পুঁতিজাম, কালোজাম, বর্তা, থনা, বট, কদম, আমলকী, চাপালিশ, হরীতকী ও বহেরার মতো ফলগাছ। চলতি বছরের মে, জুন ও জুলাইয়ে লাগানো এসব গাছ এখন পরিচর্যার পর্যায়ে আছে। কয়েক বছর পর থেকে ফল দিতে শুরু করবে এসব গাছ। তখন ফল খেতে আসা পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠবে মহামায়া হ্রদ এলাকার এ সবুজ বনাঞ্চল।
মহামায়া হ্রদ এলাকার বনজীবী মো. আসলাম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে একসময় ফলের কোনো অভাব ছিল না। কলা, ডুমুর, আমলকী, হরীতকী, বরই, বহেরা এসব ফল হাত বাড়ালেই পাওয়া যেত। গাছ নিধনের ফলে এখন সব শেষ। বন বিভাগের লোকজন নতুন ফলবাগান করেছে দেখেছি। খুব ভালো হয়েছে এটি। তবে সেখানে কিছু বরই আর ডুমুর গাছ লাগানো গেলে আরও ভালো হতো। কারণ, বরই আর ডুমুর ফলও অনেক পাখির প্রিয় খাবার।’