দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের ক্যালেন্ডার প্রকাশ না করা পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নামবে না।
তারা জানান, অবরোধের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ঘেরাও করা হতে পারে। দলটি মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লো-এর আসন্ন সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত নিঃশর্ত ব্যস্ততার বিষয়ে চিঠির জবাব দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে। শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটকে রেখে নির্বাচনী ক্যালেন্ডার প্রকাশ পেলে সেখানে কথোপকথনের পরিবেশ থাকবে না বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। নির্বাচনের তফসিলের স্বার্থে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার বলেছেন, এই নাটক বন্ধ করতে আমরা কঠোর হুঁশিয়ারি দিতে চাই।
কর্তৃত্ব ত্যাগ করুন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার বিএনপির অবরোধের মধ্যে আজ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচ দফা অবরোধের দাবি জানানো হয়েছে। ৩০ অক্টোবর থেকে বর্তমান প্রশাসনের পদত্যাগ এবং একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানাতে শুরু করে। দেশব্যাপী পদযাত্রার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সময়সূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি সূত্রের দাবি, দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে এসেছেন যে নির্বাচনী ক্যালেন্ডার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই দলের সব নেতাকর্মী রাজপথে নামবেন।
তফসিল ঘোষণার পরদিন তারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ঘেরাও করার বিষয়ে কথা বলেন। গ্রেপ্তার হয়ে পালিয়ে আসা বিএনপির নেতাকর্মীদেরও চলমান অবরোধ কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে। দলের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেছেন, শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তারের ঝুঁকিতে থাকলেও তাদের রাজপথে থাকা উচিত।