কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নারী, শিশু ও নবজাতক হত্যা ইসরায়েলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো এ কথা বলেন।
এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধ শুরুর পর ট্রুডো গতকালই ইসরায়েলের সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
হামাসের এই হামলার পর থেকে কানাডা বলে এসেছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্রদের মতো কানাডা বিধ্বস্ত গাজায় ক্রমবর্ধমান প্রাণহানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১১ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৪ হাজার ৬০০টির বেশি শিশু। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, ‘আমি ইসরায়েল সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর জন্য অনুরোধ করছি। টিভিতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ব দেখছে। আমরা চিকিৎসক, পরিবারের সদস্য, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি, মা–বাবা হারানো শিশুদের বয়ান শুনছি।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নারী, শিশু, নবজাতক হত্যার এই ঘটনা বিশ্ব দেখছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’
ট্রুডো বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হামাসকে বন্ধ করতে হবে। সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।’
গাজা থেকে প্রায় ৩৫০ কানাডীয় নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রুডো।
সব জিম্মির মুক্তিসহ গাজার বেসামরিক লোকজনের জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য সরবরাহের সুযোগ দিতে গত সপ্তাহে এই সংঘাতে একটি উল্লেখযোগ্য মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।