আজকে আমাদের দেশে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আমাদের নেতৃবৃন্দের জন্য আগামী নির্বাচন কবে হবে তা বলবেন। সন্ধ্যা ৭টায় টিভিতে দেখানো ভাষণে তিনি এটি করবেন। আজ নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম এক বৈঠকে এ তথ্য জানান।
সিইসি (নির্বাচন কমিশন) নির্বাচনের তফসিল সম্পর্কে সবাইকে জানাবেন। এমন এক সময়ে ঘটছে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তুমুল মতানৈক্য। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন করতে চায়। তবে, বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) এবং অন্যান্য দল চায় সরকার পদত্যাগ করুক এবং তাদের সংগঠিত করার দায়িত্বে একটি ভিন্ন গ্রুপের সাথে নির্বাচন হোক। ৬ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন নির্বাচন হতে পারে।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, জনগণ যেখানে ভোট দেয় সেসব জায়গায় ক্যামেরা লাগানো খুবই কঠিন। পরিবর্তে, নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে সৈন্যরা ভোটদানের জায়গায় ভোট আনতে সাহায্য করতে পারে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা কবে নির্বাচন হবে তা ঘোষণা করলে নির্বাচনের সময় জনগণের আচরণ কেমন হবে তার নিয়মকানুন মানা শুরু হবে বলেও জানান তারা।
আমরা প্রচার শুরু করতে পারি না যতক্ষণ না কেউ আর অফিসে দৌড়ানোর বিষয়ে তাদের মন পরিবর্তন করতে না পারে। মন্ত্রী ও বিধায়করা যখন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তখন তারা বিশেষ গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না বা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ চিকিৎসা নিতে পারবেন না। তারা কোনো প্রতিষ্ঠানকে সরকারের কাছ থেকে অর্থও দিতে পারে না। এই সময়ে, সরকার এমন কোনো প্রকল্প শুরু বা শেষ করতে পারে না যা জনগণকে তাদের মতো করে এবং তাদের ভোট দেওয়ার জন্য।
ইসি প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের চিহ্ন ও বিজ্ঞাপন নামিয়ে নিতে বলবে। ভোট দেওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত সকল ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, এবং তালিকায় রয়েছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। প্রথমে মানুষ ভেবেছিল নির্বাচনের পরিকল্পনা ও আয়োজন করতে প্রায় ১৪৪৫ কোটি টাকা লাগবে।।