জনগণকেই আ.লীগ প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে: ১২ দলীয় জোট

১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগ সরকারের মদদে তপশিল ঘোষণার প্রস্তুতিকে জনগণের ভোটাধিকার বিরোধী দাবি করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, দেশ-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ ও গণ বিরোধী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা জনগণের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আরেকটি পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চায়। আওয়ামী লীগ সরকারের এমন হটকারী সিদ্ধান্তকে দেশের জনগণের  প্রধান প্রতিপক্ষ বলে মনে করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা

 

নেতারা বলেন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার হরণকারী এই সরকার দেশকে পঙ্গু রাষ্ট্র বানিয়েছে। কোটি কোটি টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ দিশেহারা।

 

তারা আরও বলেন, ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাড. সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে। এধরনের গণ গ্রেপ্তার চালিয়ে আরেকটি নির্বাচন করার খেলা দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিধায় অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন দেখানোর উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাদের এবং বিএনপি পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের ভয়ভীতি ও লোভ লালসা দেখিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসার অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে।

 

রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ১২ দলীয় জোটের চতুর্থ ধাপের অবরোধ সমর্থনে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে বিজয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

 

১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে (বিজয় চত্বর) থেকে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

 

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান, হান্নান আহমেদ খান বাবলু, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির আল মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস রেজা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক  মুফতি জাকির হোসেন, আতাউর রহমান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আদনান আহমেদ প্রমুখ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *