বিএনপি দলের তিন আইনজীবী নেতাকে দুই মামলায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি দলের একটি বড় বৈঠকে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, বিস্ফোরণ ঘটানো এবং ক্ষতিসাধনের মতো খারাপ কাজ করার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে। . আজ বিচারপতি আবু তাহের নামে একজন বিচারপতি বিএনপি নামের একটি গ্রুপের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির করা আবেদনের শুনানি করেন। তারা ঝামেলায় পড়লে আগাম জামিন চেয়েছিলেন। সাইফুর রহমান নামে আরেক বিচারপতি ও বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী এবং এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নামে তিন আইনজীবীকে আগাম জামিন নামে বিশেষ ধরনের সুরক্ষা দেওয়া হয়।
গত ২৯ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় দুটি ভিন্ন ঘটনার প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। তারা বলেন, ২৮ অক্টোবর কেউ প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করে, সরকারকে ঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দেয়, বিশেষ ধরনের পানীয় দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়, জিনিসপত্রের ক্ষতি করে। বিএনপির দলের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ আইনজীবী গত ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে এসব ঘটনার আগে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে রক্ষা করার আবেদন জানান। বিচারপতিরা তাদের আবেদন শুনছেন বলে আজ তারা আদালতে গেছেন। অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী আদালতে গিয়েছিলেন যারা তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বলেছিল তাদের সমর্থন করতে। তার সঙ্গে ছিলেন কায়সার কামাল, সুব্রত চৌধুরী, মো: রুহুল কুদ্দুস, সগীর হোসেন প্রমুখ। সরকারের পক্ষে বক্তব্য দেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব মাসুদ রুমি প্রথম আলো পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট তিনজনকে বিচারের আগে কারাগার থেকে বের হওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে বিচারিক আদালত অন্যথা না বললে তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের আবার কারাগারে যেতে হবে। এই তিনজন ভালো আচরণ করবেন এবং সবকিছু শান্তিপূর্ণ রাখতে নিয়ম মেনে চলবেন বলে আশা করছেন হাইকোর্ট। তিনজন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা এই কাজ করবে। আইনজীবী সগীর হোসেন প্রথম বলেন, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী ও এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রবীণ ব্যক্তি যারা দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী ছিলেন। মামলায় সুনির্দিষ্ট কিছুর জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়নি। এসব কারণ দেখিয়ে আগাম জামিন চেয়েছেন তারা।