অশোক কুমার দেবনাথ জানান, সংশোধিত বিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এত দিন তা ছিল আট ভাগের এক ভাগ। এ ছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদা–কালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন।
এর ফলে নির্বাচন ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে কি না, প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, ইসি এমনটা মনে করছে না।
আগে সংসদীয় আসনের জন্য প্রার্থীদের ২৫ হাজার টাকা, উপজেলা নির্বাচনে ১০ হাজার টাকা আর চলমান পৌরসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যার হিসাবে জামানতের টাকা আগে জমা দিতে হতো। কেউ যদি প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ না পান, তাহলে তিনি জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।
পৌরসভা নির্বাচনে ছিল এক লাখের বেশি ভোটারের এলাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা জামানত জমা রাখতে হয় নির্বাচন কমিশনে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য জামানত পাঁচ হাজার টাকা।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ হাজার ৫০০ টাকা আর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে এক হাজার টাকা জামানত জমা রাখতে হয়।
এই টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের পে-অর্ডার বা পোস্টাল–অর্ডার জমা দিতে হয়।