কাহিনীকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইমরাদ জুলকারনাইন প্রথম আলোকে বললেন, ‘মানুষের চেতনায় গল্প শোনার স্মৃতি আছে। দাদি–নানির মুখে যাঁরা ঠাকুরমার ঝুলি শুনে শৈশব কাটিয়েছেন, তাঁদের শুনতে ভালো লাগে অডিও বুক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সাহিত্যের মূল্য কমাতে চাই না। তাই শ্রোতার পছন্দমতো একটি বই বেছে নেওয়ার সুযোগ রেখেই এ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সময় না থাকলেও মানুষ যেন বই থেকে দূরে না থাকে, তাই এ উদ্যোগ।’
মেলার মাঠে কথা হয় অডিও বুক কিনতে আসা শিক্ষার্থী রাফিয়া আলমের সঙ্গে। একাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী বললেন, তিনি বই শোনেন যানজটের মধ্যে গণপরিবহনে বসে। সময় কেটে যায় আবার বইটা পড়াও হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অবশ্য আরও এগিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করা যৌথ মনীষা। তিনি অনেক দিন থেকেই ইংরেজি উপন্যাস শুনে আসছেন বিদেশি অডিও বুকে।
মনীষার মা কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাতে নিয়ে বই পড়ার আনন্দ আলাদা। তবে যাঁরা বইপ্রেমী কিন্তু সময়ের জন্য পড়তে পারছেন না বা দৃষ্টি–সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগগুলো ভালো। তবে অডিও বুক তৈরির সময় কোন পদ্ধতিতে কোন বইটি পড়া হচ্ছে সেটা যেমন বিবেচনার বিষয়, একইভাবে বইটি কেনার প্রক্রিয়াও যেন সহজ হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।’