খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ইউজিসির অনুমোদিত অর্গানোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসারের পদ রয়েছে ৩০টি, কিন্তু এ পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৮ জনকে।
সেকশন অফিসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার পটুয়াখালীর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন ইসরাত জাহান নামের এক প্রার্থী। অন্য বিবাদীরা হলেন রেজিস্ট্রার সন্তোষ কুমার বসু, ট্রেজারার মোহাম্মদ আলী ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ। বাদী অভিযোগ করেছেন, তিনি যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ বাছাই বোর্ড কোনো পরীক্ষা না নিয়ে ছয়জনকে বিধিবহির্ভূতভাবে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ বোর্ড গঠনেও নিয়ম করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হুমায়ূন কবির বলেন, আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ ১০ মার্চ অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য বিবাদীদের নোটিশ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জ্ঞাতসারে কোনো অনিয়ম করিনি। আমরা চুরি করিনি, ঘুষ–বাণিজ্যও করিনি। শিক্ষক সমিতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারাই অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখবে।’