কিন্তু সেসব এতে (আসন ভাগাভাগি) বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’ রাহুল এখন ন্যায়যাত্রা করছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের কথা রয়েছে। অথচ মমতা বলেছেন, ‘এই যে পশ্চিমবঙ্গে যাত্রা করছে, অথচ আমাকে তো কিছু বলেননি।’
এদিকে পাঞ্জাবেও একাই লড়ার ঘোষণা দিয়েছে আপ। গতকাল আপ নেতা ভগবন্ত মান বলেন, ‘পাঞ্জাবে আমরা একার শক্তিতেই লড়ার এবং জেতার ক্ষমতা রাখি।’ আপের একটি সূত্র জানায়, দলের পাঞ্জাব নেতৃত্বের তরফে এরই মধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার বিষয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছে কেজরিওয়ালকে। গত সপ্তাহেই চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর জন্য জোট বেঁধে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস ও আপ। তবে ভগবন্ত মানের এই বার্তায় বিজেপিবিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরের ফাটল আরো চওড়া হলো বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, গোয়াসহ বিভিন্ন রাজ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠক চলছিল আপ ও কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি এবং পাঞ্জাবের ১৩টির মধ্যে পাঁচটি কংগ্রেসকে ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে আম আদমি হরিয়ানায় ১০টি আসনের মধ্যে তিনটি, গোয়ার দুটি আসনের মধ্যে একটি এবং গুজরাটে ২৬টি আসনের মধ্যে দুটি (ভারুচ এবং অন্য একটি) চেয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি কংগ্রেস।
সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।