বিলের জমি থেকে গত শুক্রবার সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে পরিবার যে মামলা করেছে সেখানে কারো নাম দেওয়া হয়নি। ক্লু লেস হত্যাকাণ্ড। ছায়া তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সাদ্দামকে সিগারেট দিয়েছিলেন বাবুল। তবে হত্যার পর তিনি অনুতপ্ত হয়ে আর ঘুমাতে পারেননি বলে দাবি করেছেন।
গত সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জবানবন্দির বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এর আগে গত শুক্রবার নবীনগরের দৌলতপুরের আশরাফপুর গ্রামে বিলের জমি থেকে সাদ্দাম হোসেনের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনায় সাদ্দাম হোসেনের ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত বাবুলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর থানার খায়ের বাংলা মধ্যপাড়া এলাকায়।
জবানবন্দিতে বাবুল জানান, এক ব্যক্তিকে ভাই ডাকতেন তাঁর স্ত্রী। ওই লোকের পরামর্শে স্ত্রীসহ নরসিংদী চলে গিয়ে সেখানেই জীবিকা নির্বাহ করতেন বাবুল। এক পর্যায়ে তাঁর সঙ্গে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়ান। বিষয়টি শ্যালিকা ও ভায়রাকে জানিয়ে সুরাহা পাননি বাবুল। এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে শ্যালিকাকে বিধবা করার পরিকল্পনা করেন।
শচীন চাকমা বলেন, ‘স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানাভাবে তদন্ত করে বাবুলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাঁকে নরসিংদীর ইটাখোলা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’