টিসিবির জন্য ৩৯১ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনছে সরকার

রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকার রাইস ব্রান অয়েল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে এক কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান অয়েল এবং ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে। 

গতকাল মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই তেল ও ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

নতুন সরকারের অধীনে এটি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, টিসিবির মাধ্যমে তিনটি লটে এক কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল সরাসরি ক্রয় (ডিপিএম) পদ্ধতিতে স্থানীয় তিনটি প্রতিষ্ঠান মজুমদার প্রডাক্ট, মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস ও আলী নেচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে এসব তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

এই ডাল কিনতে ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ১৩ পয়সা। এ ছাড়া বগুড়ার রয় অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই ডাল কিনতে খরচ হবে ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

 

প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৫ টাকা ৪৫ পয়সা। দ্রুত সরবরাহ বাড়াতে এলএনজি আমদানি 

সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী ২০২১)’-এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। এটি ২০২৪ সালের তৃতীয় ধাপের এলএনজি আমদানি।

 

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এই গ্যাস আমদানি করা হবে। প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ১০.৮৮ মার্কিন ডলার।

 

জানা যায়, এলএনজির মূল্য অস্বাভাবিক বাড়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩-এর জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতিতে চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। ফলে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার দাবি ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *