চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়ে ঢাকার প্রথম হার

যথারীতি বিপিএলের এবারের আসরের আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচ হিসেবেই শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিল দুর্দান্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স লড়াই।  তবে ১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেন উসমান কাদির। পরের ওভারের প্রথম দুই বলে একরান দেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। 

ঢাকার ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামের তখন দরকার ১৬ বলে ২১ রান। এখান থেকে পাঁচ বলের ব্যবধানে তিন ছক্কা মেরে ম্যাচের পিঠ থেকে সব অনিশ্চয়তা মুছে দেন আফগানিস্তান ব্যাটার নাজিবউল্লাহ জাদরান। চট্টগ্রাম ম্যাচ জিতেছে ৬ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে। তৃতীয় ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।

 

অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকার এটি প্রথম হার।

 

চট্টগ্রামের জন্য ম্যাচটা সহজ করে দেন মূলত আগের দুই ম্যাচে রান না পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম। শরিফুলের প্রথম ওভারে আভিষ্কা ফার্নান্দোর ঝোড়ো শুরুর পর চট্টগ্রামকে ম্যাচে রাখেন এই বাঁহাতি ওপেনার। শরিফুলের প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বল থেকে টানা তিন চারসহ ১৯ রান নেন আভিষ্কা। পঞ্চম বলে অবশ্য শেষ হাসি শরিফুলের।

 

এলবিডব্লিউ করে ফেরান শ্রীলঙ্কান ওপেনারকে।নিজের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুলের শিকার ইমরানউজ্জামান। তবে শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তোলানে তানজিদ। দুজনের জুটি যখন ম্যাচ বের করে নেবে মনে হচ্ছিল, ওই মুহূর্তে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরান পাকিস্তানি লেগ স্পিনার উসমান কাদির। রানের জন্য কিছুটা সংগ্রাম করতে থাকা শাহাদাত ৩১ বলে ২২ রান করে আউট হন।

 

পরে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে আরো ২৪ রান যোগ করেন তানজিদ। তানজিদ ৪৯ রান করে আউট হলেও ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন নাজিবউল্লাহ। টপ অর্ডার থেকে তানজিদের মতো একটা ইনিংসের আক্ষেপ ছিল চট্টগ্রামের। এক পর্যায়ে তারা ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এখান থেকে ঢাকা লড়ার মতো পুঁজি পায় দানুষ্কা গুনাথিলাকার কনকাশন বদলি হিসেবে নামা লাসিথ ক্রসপুল্ ও ইরফান শুক্কুরের পঞ্চম উইকেট জুটিতে। 

ক্রসপুলকে শুভাগতর ক্যাচ বানিয়ে ৭৩ রানের এই জুটি ভাঙেন আয়ারল্যান্ড অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। ৩১ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৬ রান করেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার। ক্রসপুল আউট হওয়ার পর শেষ ৪.২ ওভারে আর মাত্র ৩০ রান যোগ করতে পারে ঢাকা। ইরফান ২৭ ও শেষ দিকে তাসকিন আহমেদ ৯ বলে ১৫ রান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *