চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে নারী ও শিশুসহ ২৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা সবাই বরপক্ষের ছিলেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তারা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, অসুস্থদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৯ জন শিশু ও ১১ জন নারী। তারা হলেন- তছলিম উদ্দিন, সোহাগ, রাব্বি হাসান, ফাইজা, আয়েশা, শাহ আলম, তানজিলা, তাজনিন, আনাস, নাজিফা, নাছিফা, নুসরাত জাহান, শিউলি, আহানা, সুলতানা রাজিয়া, ছাদিয়া, ফাতেমা, বুট্টু পাটওয়ারী, নুরজাহান, রায়হান, তাছলিমা, রুবি, আনোয়ার, আফরোজা ও আলিফা। তারা রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রাম ও আশপাশ এলাকার বাসিন্দা।
অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেরোয়া গ্রামের বসু পাটওয়ারি বাড়ির মো. মানিকের সঙ্গে ফরিদগঞ্জের চরমান্দারী গ্রামের তফাদার বাড়ির মৃত তোফায়েল আহমেদের মেয়ে তারিনের বিয়ে হয়। বরযাত্রী হয়ে ওই পুরুষ-নারী ও শিশুরা সেখানে খাবার খান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরেই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন সবাই।
বর মো. মানিক সাংবাদিকদের বলেন, দাওয়াতে দুই শতাধিক মানুষ খেয়েছেন। আমার আত্মীয়-স্বজনরা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেন এমন হয়েছে বুঝতে পারছি না। বরের ভাই ও রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনোয়ার মাসুম বলেন, রায়পুর সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও প্রাইভেট ক্লিনিক, চাঁদপুরের মতলব ডায়রিয়া নিরাময় কেন্দ্রে ৮-১০ জনকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম বলেন, ২৫ জন রোগী অসুস্থ হয়ে আমাদের হাসপাতালে এসেছেন সবাইকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্য বিষক্রিয়া থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।
অসুস্থদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। এরপর কোন রোগী আসলে আমরা অন্য হাসপাতালে রেফার করে দিতে হবে। আর ঘটনার সঠিক কারণ জানতে হলে খাবার পরীক্ষা করতে পাঠাতে হবে। এদিকে দাওয়াতি এলাকা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই।