মেলায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ, স্বাধীনতাসংগ্রাম, উন্নত শিল্প সমৃদ্ধ সোনার বাংলা নির্মাণে জাতির পিতার ভাবনা ঘিরে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রায় একই হারে স্টল-প্যাভিলিয়নের জামানত বাড়ানো হয়েছে। যেখানে একেকটি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন পেতে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের। স্টল বরাদ্দ নিতে গুনতে হয়েছে চার লাখ টাকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। আর রেস্তোরাঁ বরাদ্দ নিতে গুনতে হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ১৭ লাখ টাকা পর্যন্ত, যা গতবারের চেয়ে এক লাখ টাকা বেশি। বুথপ্রতি এক লাখ ৩০ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে সাতটি বুথ বসানোর অনুমতি নিয়েছে কয়েকটি ব্যাংক। বিনোদনের জন্য মেলায় থাকবে একটি শিশু পার্ক, যেটির বরাদ্দ মিলেছে ১৭ লাখ টাকায়।
বিআরটিসির ম্যানেজার অপারেশন কামরুজ্জামান জানান, মেলায় দর্শনার্থীদের আসা-যাওয়া নিশ্চিত করতে বিআরটিসি ৬৪টি শাটল বাস চালু করা হবে। এর মধ্যে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ৪০টি বাস চালু থাকবে। ফার্মগেট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ২৪টি বিআরটিসি শাটল বাস চালু থাকবে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ টাকা। ফার্মগেট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা। শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটির দিনে ১৬১টি বিআরটিসি দ্বিতল বাস চালু থাকবে।
সরকারি ছুটিতে মেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতা বেশি হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে এ দুই দিন ১৬১টি বিআরটিসি দ্বিতল বাস চালু রাখা হবে। রাজধানী ঢাকার দর্শনার্থীদের চলাচলের রাস্তা কুড়িল বিশ্বরোড ৩০০ ফিট শেখ হাসিনা সরণি সড়কটি যথেষ্ট ভালো অবস্থায় রয়েছে। সহজে ঢাকার দর্শনার্থী ক্রেতারা মেলায় আসতে পারবে। মিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের এমডি ইসাহাক মিয়া বলেন, গতবারের তুলনায় এ বছর মেলায় সব কিছু বাড়ানো হয়েছে।