সম্প্রতি রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শুনানির তারিখ রেখেছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান শুনানির এই নতুন তারিখ ধার্য করেন। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাদে এসব মামলায় অন্য যারা আসামি আছেন, তাঁদের বিষয়ে শুনানি হয়েছে।
যাদের হাজিরা ছিল তাঁরা হাজিরা দিয়েছেন। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে একজন আইনজীবী দাঁড়িয়ে বলেছেন, উচ্চআদালতের আদেশে ওনার (খালেদা জিয়ার) ক্ষেত্রে সবগুলো মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। ফলে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মামলার কার্যক্রম যেন স্থগিত রাখা হয়। পরে আদালত আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১১টি মামলার মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় ৮টি, যাত্রাবাড়ী থানার ২টি মামলা করা হয়। ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এসব মামলা করা হয়। অন্যটি রাষ্ট্রদ্রোহের। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ঢাকার একটি আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এসব মামলায় খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা আদালতে হাজিরা দেন। গ্যাটকো, নাইকো এবং বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলাও ঢাকার অন্য তিনটি বিশেষ আদালতে বিচারাধীন। দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
এ দিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পর গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে তাঁর বাসা ফিরোজায় পৌঁছান। গত বছর ৯ আগস্ট থেকে বিএনপি নেত্রী রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।