রাজনৈতিক সংকটকে স্বীকৃতি দিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন।
একপক্ষীয় একটি নির্বাচনের পর রাজনৈতিক বিভেদ অমীমাংসিত রেখেই আওয়ামী লীগের নতুন সরকার যাত্রা শুরু করেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অনেক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়েও দেশে-বিদেশে প্রশ্ন রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সার্বিকভাবে রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা টানা চতুর্থবারের আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এই সংকটকে স্বীকৃতি দিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া না হলে রাজনৈতিক সমস্যা ভবিষ্যতে অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও তাঁদের নতুন সরকারের জন্য অর্থনীতি ও কূটনীতির পাশাপাশি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘চ্যালেঞ্জ আসলে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক। সামনে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
চ্যালেঞ্জ আসলে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক। সামনে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। সে সময় ওবায়দুল কাদের ওই তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে রাজনৈতিক সংকটের একটা স্বীকৃতি রয়েছে বলা যায়। কিন্তু সমস্যাকে সরকার কতটা গুরুত্ব দেবে এবং সমাধানের কোনো চেষ্টা থাকবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়ে যায়।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপি মনে করছে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সংকটকে আমলে না নিয়ে একতরফাভাবেই এগোবে। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে এবার আওয়ামী লীগের যে সরকার গঠিত হলো, সেই সরকার একদলীয় বৃত্ত তৈরি করে এগোচ্ছে। কিন্তু অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা না হলে এ সরকারকে হোঁচট খেতে হবে।