বায়ুদূষণে প্রায়ই শীর্ষে থাকছে ঢাকা

সম্প্রতি প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১০ শহরের মধ্যে শীর্ষস্থানে উঠেছিল ঢাকা। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে (একিউআই) ওই সময় ঢাকার স্কোর ছিল ২৮৯। বাতাসের এই মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত।

এর আগে টানা ১১ দিন ধরেও রাজধানীর বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়েই ছিল। বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই দিনের কোনো না কোনো সময় ঢাকা বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরগুলোর তালিকার ওপরের দিকে থাকছে। সর্বশেষ গতকাল রাত ৯টায় বাতাসের মান একটু ভালো হয়ে ‘অস্বাস্থ্যকর’-এ উন্নীত হয়। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই তাত্ক্ষণিক (লাইভ) সূচক নির্দিষ্ট কোনো শহরের বাতাস কতটা নির্মল কিংবা দূষিত সে ব্যাপারে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় একিউআই সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ৫ নম্বরে। স্কোর ছিল ১৯৮। তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারায়েভো, দ্বিতীয় ভারতের কলকাতা, তৃতীয় নয়াদিল্লি, চতুর্থ পাকিস্তানের লাহোর। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ঢাকার পরে ছিল যথাক্রমে চীনের উহান, পাকিস্তানের করাচি, নর্থ মেসিডোনিয়ার স্কোপিয়ে, সার্বিয়ার বেলগ্রেড ও ইরাকের বাগদাদ।

শূন্য স্কোর নিয়ে তালিকার ১১০ নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো।

গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে একিউআই সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ষষ্ঠ এবং স্কোর ১৮২। বাতাসের এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত।বাতাসের মান সূচক অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলো ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু। স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। ২০১ থেকে ৩০০ স্কোর হলে তা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৩০১-এর বেশি স্কোর ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচিত।

 

বায়ুদূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ক্যান্সারসহ অনেক ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার জন্য দায়ী। দূষণের মাত্রা বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সাধারণত বৃষ্টি হলে বায়ুদূষণ কিছুটা কমে। তবে চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ার পর বায়ুদূষণ কমলেও এক দিনের ব্যবধানে দূষণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।সূত্র : আইকিউএয়ার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *