রাজনীতির সকল খোঁজ রাখেন খালেদা

প্রকাশঃ ১০-১২-২০২৩

গত ২৬ অক্টোবর সফল অস্ত্রোপচারের পর থেকে কিছুটা ভালো আছেন খালেদা জিয়া। তাঁর ফুসফুসে পানি ও পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ বন্ধে ‘টিপস’ করতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এতে তাঁর আগের সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে কিছুটা স্বস্তিকর পরিস্থিতি হয়েছে। তবে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতার কারণে এখনও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। হাসপাতালে টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা ও আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতির খোঁজখবর নেন খালেদা জিয়া। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলন সঠিক পথে এগোচ্ছে বলে মনে করেন এবং সফলতার ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী।

 

অস্ত্রোপচারের পর গত ২৭ অক্টোবর সর্বশেষ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরের দিন বিএনপির মহাসমাবেশে দলীয় চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নেতাকর্মীকে অবহিত করার কথাও ছিল তাঁর। কিন্তু সমাবেশ পণ্ড হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। এমনকি সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আর দেখতেও যাননি দলের কোনো শীর্ষ নেতা। মির্জা ফখরুলসহ দলের অনেক নেতাকর্মী কারারুদ্ধ এবং গণগ্রেপ্তার এড়াতে অন্যদের মধ্যে প্রায় সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারাও ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

 

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে কোনো দিকনির্দেশনা দেন না শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত খালেদা জিয়া। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও সমমনা দলগুলোর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আস্থা রয়েছে তাঁর। যতটুকু সম্ভব দেশ-বিদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত বা দিকনির্দেশনা দেওয়ার পর্যায়ে নেই।

 

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া চিকিৎসা নেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে টেলিভিশন দেখেন। পত্রপত্রিকা পড়েন। উপস্থিত আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সময় কাটান। এ সময় তিনি দেশ-বিদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে চান। তবে নিজ থেকে কোনো মন্তব্য করেন না।

 

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদরোগে ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই খালেদা জিয়ার সার্বিক চিকিৎসা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *