বিক্ষোভ মিছিলটি রামপুরা বাজার থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম দলমত নির্বিশেষে সকলকে প্রয়োজনে রাজপথে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নিন্ম আদালতে প্রহসনের বিচার, ফরমায়েসী রায় এবং গুম ও গুপ্ত হত্যার প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি রামপুরা বাজার থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘চলমান আন্দোলন রাজপথে রাজনৈতিক, নৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ সরকার।
আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তাঁরা প্রহসনের বিচার এবং ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে বিরোধী আন্দোলন দমন করতে চায়। কিন্তু জনগণ এসব রায় মানে না।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সাংশনের কারণে হত্যার লাইসেন্স আর পাচ্ছে না। ফলে তারা জনগণে যৌক্তিক আন্দোলন দমন ও বিভ্রান্ত করার জন্য গুম, খুন, গুপ্তহত্যা সহ আদালতের অপব্যবহার শুরু করেছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগের মনে রাখা উচিত জনতার এই উত্তাল তরঙ্গ ও দুর্বার আন্দোলন পুলিশ দিয়ে বন্ধ করা যাবে না।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে ড. রেজাউল বলেন, ‘যারা জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছেন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আদালতে তাদের বিচার করা হবে। যারা জনগণকে সহযোগিতা করবেন তাদের যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা হবে।’
তিনি অবিলম্বে জামায়াত ও বিএনপিসহ সকল দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানান।
পাশাপাশি সরকারকে হঠকারিতা পরিহার করে অবৈধ তফসিল বাতিল, অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান। অন্যথায় যেকোন পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্ম পরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দীন, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ও মু. আতাউর রহমান সরকার, ছাত্রনেতা সালাহ উদ্দীন ও আব্দুর রহীম প্রমূখ।