প্রকাশঃ ৩০-১১-২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অতিথিরা তাদের কষ্টের কথা লুকানোর একদমই চেষ্টা করেননি। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম ফোবিয়া নিয়ে আলোচনা করতে বাইডেন বিশিষ্ট মার্কিন মুসলিম নেতাদের একটি প্রতিনিধি দলকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান। নেতারা রাখঢাক ছাড়াই বাইডেনকে তাদের ক্ষোভের কথা জানান; তাঁর সমালোচনা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত চার ব্যক্তির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে। মুসলিম প্রতিনিধিরা বাইডেনকে বলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলকে তাঁর আলিঙ্গন গাজা উপত্যকায় বোমা ফেলার অনুমতি দেওয়ার মতো বিষয় ছিল। এ ছাড়া গাজায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বাইডেনের সন্দেহ ফিলিস্তিনিদের অপমান করার শামিল। ওই মুসলিম নেতারা বলেছেন, শিকাগোতে ছয় বছরের মুসলিম যুবককে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করার ঘটনাটি এসবেরই ভয়ানক ফল।
গত ২০ অক্টোবর ৩০ মিনিটের জন্য ব্যক্তিগত ওই বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল, যা এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে। বাইডেন মুসলিম নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন; তাদের কথা শোনেন এবং তাঁর নিজস্ব মনোভাব প্রকাশ করেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির মুসলিম ভোটারদের সংগঠন অ্যামগেজের প্রধান নির্বাহী ওয়াল আলজায়াত জানান, (ইসরায়েলের) পাল্টা আক্রমণের ক্ষেত্রে ভুল থাকতে পারে বলে স্বীকার করেছেন বাইডেন। তিনি তাদের কথা শুনেছেন এবং সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে আরও ভালো কিছু করার অঙ্গীকার করেছেন, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের মানবিকীকরণের ক্ষেত্রে।
ওই বৈঠকে ছিলেন মিনেসোটা রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল কেইথ অ্যালিসন। তিনি বলেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ মার্কিনিদের ঝুঁকিও বাড়িয়েছে। মুসলিম নেতারা বলেছেন, চরম কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নিরপরাধ গাজাবাসী টিকে থাকার লড়াই করছেন। গাজার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষী হামলা উস্কে দেবে। বৈঠক শেষে বাইডেন এক নারীর সঙ্গে কোলাকুলি করেন। কয়েক বছর আগে ওই নারী ইসলামবিদ্বেষী হামলায় তাঁর ছেলেকে হারিয়েছিলেন।